আসসালামুআলাইকুম । আমরা তাবলিগে যারা নতুন সময় দিয়েছি বা দিচ্ছি তাদের
জন্য ব্লগে লোড দেওয়া বিষয়বস্তুগুলি জানা খুবই জরুরী । মুদ্দা কথা-আল্লা
ভোলা মানুষগুলো যেন আল্লাহর পরিচয় চিনতে পারে এখানেই স্বার্থকতা ।
আমরা যারা হুজুর পাক (সা:) এর উম্মত বলে দাবি করি তাদের সকলের এ কাজ,
আমরা সকলেই এ কাজের দায়ি ।
সমস্ত পৃথিবীর মালিক আল্লাহপাক। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা। এক বিষেশ
উদ্দেশ্যে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করে সকলের উপর তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন
যেহেতু মানুষকে মাখলুকাতের উপরশ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন; সেহেতু মানূষ তার লক্ষ
অর্জন করে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার যথাযথ ব্যবস্থা স্বরুপ আল্লাহপাক পবিত্র
কোরআন এবং আমাদের রহমত স্বরূপ প্রিয় রসূল (স:) কে সর্বশেষ নবী করে
পাঠিয়েছেন।
হিজরি দশম সনে রসূল (স:) হজব্রত পালনের সিদ্ধান্ত নেন। আর এ উদ্দেশ্যে রসূল
632 খ্রিঃ 20 ফেব্রুয়ারী লক্ষাধিক মুসলমান নিয়ে মক্কায় রওনা হন। এটাই রসূল
(স:) জীবনের শেষ হজব্রত পালন ছিল এবং এজন্যেই একে হুজ্জাতুলবেদা বা বিদায়
হজ বলা হয়।
এ সময় উনার সব বিবি তারঁ সঙ্গী হলেন এবং হুজুর (স:) মিনায় কোরবানী দেওয়ার
জন্য একশত প্রাণী সঙ্গে নিলেন। হুজুর (স:) ধুলহুলায়ফা নামক স্থানে পৌছে রাত
যাপন করলেন। পরদিন তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা হজেরপোষাক বা ইহরাম পরিধান
করলেন। একাদশ দিনে তিনি পবিত্র মক্কা শহরে পৌছালেন। সেখানে পৌছেঁ তিনি
কাবা গৃহের দিকে রওনা হলেন।
কাবাগৃহে সাতবার তিনি চর্তুদিকে প্রদক্ষিন করলেন এরপর মোকামে ইব্রাহীম
নামক স্থানে প্রার্থনা করলেন। অতঃপর রসূল (স:) সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের
মাঝখানে সাতবার দৌড়ালেন। যেসব সঙ্গীর সঙ্গে কোরবানী করার মত কোন
প্রাণী ছিল না, তাঁরা রসূল (স:) এর আদেশে মাথা নেড়া করলেন। জিল হজের
অস্টম দিনে রসূল (স:) মক্কা ছেড়ে মিনায় গেলেন এবং সেখানে রাতযাপন করলেন।
সকালে নামাজান্তে তিনি কাসওয়া নামক উঠে আরোহন করে সঙ্গীদের নিয়ে আরাফা- তের দিকে অগ্রসর হলেন। হজ সম্পন্ন করে তিনি আরাফাত পাহাড়ের চূড়ার উপর
দাঁড়িয়ে সমবেত মুসলমানদের লক্ষ করে খুতবা দিলেন। এটাই ছিল উনার সর্বশেষ
খুতবা বা উপদেশ বাণী। এ বাণীর মাধ্যমে তিনি একটি আদর্শ মুসলিম সমাজের চিত্র
তুলে ধরলেন। শ্রেণী -বৈষম্য, অন্যায় -অবিচার, শোষনর্নিযাতন, অসামাজিক
র্কাযকলাপ প্রভৃতি বাণী সাহাবিদের সামনে তুলে ধরেন।
ভাষনের শেষ পর্যায়ে রসূল (স:) ইসলামের মুল বুনিয়াদ সম্পর্কে পুনরায় তাগিদ
দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের পরওয়াদিগারের ইবাদত করবে,পাচঁ ওয়াক্ত
নামায আদায় করবে,রমজানে রোযা রাখবে এবং আমি যা নির্দেশ দিয়েছি তা পালন
করতে থাকবে, সত্ কাজের আদেশ করবে এবং অসত্ কাজের নিষেধ করতে থাকবে
এর দ্বারা তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এ পর্যন্ত বলার পর রসূল (স:) উর্দ্ধে দিৃষ্টিপাত করে বললেন, হে প্রভু ! আমি কি
তোমার বাণী জনগনের কাছে পৌছাতে পেরেছি ? সাহাবীরা তখন একবাক্যে উত্তর
দিলো ' হে আল্লাহ'র রাসূল ! আপনি শুধু পৌছানই নি বরং উহার হকও আদায়
করেছেন ' ! নবীজি তখন বলে উঠলেন - 'হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি
থেকো হেআল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো !সেইথেকে আমরা উম্মতে মুহাম্মদিরা এ কাজের দায়ি।
মানুষ
মরনশীল । সবাইকে একদিন
চলে যেতে হবে । কি নিয়ে
যাব কখনও কি আমরা
এ বিষয়ে ভেবে দেখেছি ? সবাই আমরা নিজেকে নিয়ে আজ বড় ব্যাস্থ । এখন
সবসময় মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর একটা কবিতা মনে পড়ে
এ বিষয়ে ভেবে দেখেছি ? সবাই আমরা নিজেকে নিয়ে আজ বড় ব্যাস্থ । এখন
সবসময় মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর একটা কবিতা মনে পড়ে
“ হে পথিক , ক্ষনেকের তরে , বস মোর
শিখে ,
ফাতেহা পড়ে যাও মম মুক্তির আশে”
সত্যি কি আমরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ! চলুন আজ থেকে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে থাকি
আল্লাহ্ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন । আমিন……
আল্লাহ্ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন । আমিন……
No comments:
Post a Comment