গাস্ত ৫ প্রকার : ১) খুশুশী গাস্ত, ২) তালিমী গাস্ত,৩ ) তাসকিলি গাস্ত, ৪) উমুমী গাস্ত, ৫) উসুলী গাস্ত ।
গাস্তের বয়ান এর মোটামুটি
কথা-
গাস্তের অর্থ দ্বীনের
কাজে ঘোরাফেরা করা। গাস্তের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তায়ালার বে-তলব বান্দার অন্তরে তলব পয়দা করা।
আলহামদুলিল্লাহ
! আল্লাহ রাব্বুল
আলামীনের
লাখো-কোটি শুকরিয়া যে,তিনি
বিশ্ব মানবতার হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কেরামগণ কে প্রেরণ করেছেন !
বিশ্বমানবতার উত্কর্ষ সাধন,ইহকাল পরকালের প্রকৃত শান্তি,নিরাপত্তা এবং সফলতা অর্জনের একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম। অল্লাহ্ এবং তারঁ রসূল (স:) এর প্রতি সঠিক ঈমান স্থাপন করা এবং আনুগত্য করা; এর কোন বিকল্প নেই।
আল্লাহ যখন ঈসা (আঃ) কে জীবিত
অবস্থায় তার কাছে উঠিয়ে নিলেন, তারপর থেকে হুজুর পাক (সাঃ) আসা পর্যন্ত
মধ্যবর্তি সময়ে দীনের দাওয়াত ছিলোনা ! আর দাওয়াত না থাকার কারনে মানুষ
এতটাই বর্বর এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে,ঐ যুগকে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগ বা
অন্ধকার,অজ্ঞতার যুগ বলে
আঙ্খায়িত করা হয়ে থাকে !
হুজুর পাক (সাঃ) যখন দীনের দাওয়াত নিয়ে আসলেন,এবং এই সব বর্বর মানুষগুলোর দিলের পেছনে মেহনত শুরু করলেন, তখন দাওয়াতকে গ্রহণ করার কারনে আল্লাহ তায়ালা তাদের মধ্য থেকে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)গণের জামাত কে বের করলেন !
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ),উমর ফরুক (রাঃ),উসমান গনি (রাঃ),জাফর (রাঃ) বিলাল (রাঃ),আলি (রাঃ) এর মত বড় বড় সাহাবা তাদের মধ্যে তৈরি হল ! যাদের মত ভাল মানুষ কিয়ামত পর্যন্ত আর পৃথিবীতে আসবেনা !
যাদের সম্পর্কে হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেন - 'আমার এক একজন সাহাবী আসমানের এক একটা তারকার ন্যায়,তোমরা যাকেই অনুসরণ করবে,হেদায়েতের পথ পেয়ে যাবে !'
সমস্ত পৃথিবীর মালিক আল্লাহপাক। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা। এক বিষেশ উদ্দেশ্যে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করে সকলের উপর তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন। যেহেতু মানুষকে মাখলুকাতের উপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন; সেহেতু মানূষ তার লক্ষ অর্জন করে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার যথাযথ ব্যবস্থা স্বরুপ আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন এবং আমাদের রহমত স্বরূপ প্রিয় রসূল (স:) কে সর্বশেষ নবী করে পাঠিয়েছেন।
হিজরি
দশম সনে রসূল (স:) হজব্রত
পালনের সিদ্ধান্ত নেন।
আর এ উদ্দেশ্যে রসূল 632
খ্রিঃ 20 ফেব্রুয়ারী লক্ষাধিক মুসলমান নিয়ে মক্কায় রওনা হন।
এটাই রসূল (স:) জীবনের
শেষ হজব্রত পালন ছিল এবং এজন্যেই একে হুজ্জাতুল বেদা বা বিদায় হজ বলা হয়।
এ সময় উনার সব বিবি তারঁ সঙ্গী হলেন এবং হুজুর (স:) মিনায়
কোরবানী দেওয়ার জন্য একশত প্রাণী সঙ্গে নিলেন।
হুজুর (স:) ধুলহুলায়ফা নামক
স্থানে পৌছে রাত যাপন করলেন।
পরদিন তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা
হজের পোষাক বা ইহরাম পরিধান করলেন।
একাদশ দিনে তিনি পবিত্র মক্কা শহরে পৌছালেন বা প্রবেশ করলেন।
সেখানে পৌছেঁ তিনি কাবা গৃহের দিকে রওনা হলেন।
কাবাগৃহে সাতবার তিনি চর্তুদিকে প্রদক্ষিন করলেন। এরপর মোকামে ইব্রাহীম নামক স্থানে প্রার্থনা করলেন। অতঃপর রসূল (স:) সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে সাতবার দৌড়ালেন। যেসব সঙ্গীর সঙ্গে কোরবানী করার মত কোন প্রাণী ছিল না, তাঁরা রসূল (স:) এর আদেশে মাথা নেড়া করলেন। জিল হজের অস্টম দিনে রসূল (স:) মক্কা ছেড়ে মিনায় গেলেন এবং সেখানে রাতযাপন করলেন।
সকালে নামাজান্তে তিনি কাসওয়া নামক উঠে আরোহন করে সঙ্গীদের নিয়ে আরাফাতের দিকে অগ্রসর হলেন। হজ সম্পন্ন করে তিনি আরাফাত পাহাড়ের চূড়ার উপর দাঁড়িয়ে সমবেত মুসলমানদের লক্ষ করে খুতবা দিলেন। এটাই ছিল উনার সর্বশেষ খুতবা বা উপদেশ বাণী। এ বাণীর মাধ্যমে তিনি একটি আদর্শ মুসলিম সমাজের চিত্র তুলে ধরলেন। শ্রেণীবৈষম্য, অন্যায়-অবিচার, শোষন-র্নিযাতন, অসামাজিক র্কাযকলাপ প্রভৃতি বাণী সাহাবিদের সামনে তুলে ধরেন।
ভাষনের শেষ পর্যায়ে রসূল (স:) ইসলামের মুল বুনিয়াদ সম্পর্কে পুনরায় তাগিদ দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের পরওয়াদিগারের ইবাদত করবে,পাচঁ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে,রমজানে রোযা রাখবে এবং আমি যা নির্দেশ দিয়েছি তা পালন করতে থাকবে, সত্ কাজের আদেশ করবে এবং অসত্ কাজের নিষেধ করতে থাকবে। এর দ্বারা তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ পর্যন্ত বলার পর রসূল (স:) উর্দ্ধে দিৃষ্টিপাত করে বললেন, হে প্রভু ! আমি কি তোমার বাণী জনগনের কাছে পৌছাতে পেরেছি ?
সাহাবীরা তখন একবাক্যে উত্তর দিলো,'হে আল্লাহ'র রাসূল ! আপনি শুধু পৌছানই নি বরং উহার হক ও আদায় করেছেন ' ! নবীজি তখন বলে উঠলেন - 'হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো ! হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো ! হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো !
রসূল (স:) এর একান্ত মেহেনত এবং অবিরাম চেষ্টার ফলে চরম র্ববরতার অবসান ঘটে সভ্যতার স্বর্নযুগ সৃষ্টি হয়…..
তো এই জিম্মাদারি এই নবী ওয়ালা মেহনত আমরা সবাই করতে তৌরি আছিনা ইনশা-আল্লাহ??
এই কাজের লাভ
কি ? এই কাজের
ভাই অনেক লাভ -আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল বা এক বিকাল ব্যায় করলে দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম।
আল্লাহর রাস্তায় ধুলা আর জাহান্নামের ধোয়াঁ কখনো একত্রিত হবে না। ইত্যাদি…………
সব কাজেরই কিছু তরতীব থাকে আর এই কাজেরও কিছু তরতীব আছে।
........................................................................……
আলহামদুলিল্লাহ ! আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের লাখো-কোটি শুকরিয়া যে,তিনি বিশ্ব মানবতার হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কেরামগণ কে প্রেরণ করেছেন !
আখেরি নবীর তিরোধানের পরে নায়েবে নবীদের মাধ্যমে এই সিলসিলাকে তিনি জারি রেখেছেন ! তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও দাওয়াতের মেহনত চলতেছে !
আল্লাহ তায়ালা সূখ-শান্তি,সফলতা ও কামিয়াবী রেখেছেন একমাত্র দীনের মধ্যে ! দীন আল্লাহ তায়ালার কাছে অতি প্রিয় অতি মাহবুব ! দীন আল্লাহ পাকের হুকুম, হুজুর পাক (সাঃ) এর তরিকা ! আর এই দীনকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে লক্ষ্যাধিক নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন !
প্রত্যেক নবীগণই এসে নিজ নিজ কওমের কাছে দাওয়াত দিয়েছেন ! তাদের দাওয়াত ছিল 'হে ! লোকসকল,তোমরা বল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তাহলে তোমরা কামিয়াব হয়ে যাবে !'
যারা নবীর দাওয়াতকে গ্রহণ করেছে,আল্লাহকে রব হিসেবে স্বীকার করছে তারা কামিয়াব হয়েগেছে ! দুনিয়ার জীবনে যেমনি তাদের আল্লাহ তায়ালা সূখ-শান্তি,সফলতা, ইজ্জত নিরাপত্তা দিয়ে পালছেন তেমনি জান্নাতের সুসংবাদও তাদেরকে জানিয়ে দিছেন নবীদের মাধ্যমে !
আর যারা নবীদের দাওয়াতকে গ্রহণ করে নাই,আল্লাহ তায়ালাকে রব হিসেবে স্বীকার করে নাই তারা দুনিয়াতেও নাকামিয়াব এবং আখিরাতেও ! তাদের অনেককে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে তো জিল্লতি,অশান্তি,পেরেশানির মধ্যে রাখছেনই এমনকি অনেককে তত্ক্ষনাত তার আযাব দ্বারা পাকড়াও করছেন ! আর অনন্ত কালের জিন্দেগিতে আল্লাহ'র অবাধ্যতা যে তাদের জাহান্নামের উপযুক্ত করেছে তার খবরও নবীরা তাদের জানিয়ে দিছেন !
এই দীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে প্রত্যেক নবী রাসূলকে অনেক কষ্ট-মুযাহাদা করতে হয়েছে ! কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে তো কাউকে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছে ,কাউকে কাদা-পানি ভর্তি চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে শহীদ করা হয়েছে,কাউকে লোহার চিরুনি দ্বারা শরীরের গোস্ত আচড়ে উঠানো হয়েছে ! আর কাউকে তো করাত দ্বারা দ্বিখন্ডিত করে হত্যাও করা হয়েছে !
তাদের প্রত্যেককেই অমানুষীক কষ্ট দেয়া হয়েছে ! আর সব চেয়ে বেশি কষ্ট দেয়া হয়েছে আমাদের হুজুর পাক (সাঃ) কে ! দীনের দাওয়াত দেবার জন্য তাকে যে কষ্ট দেয়া হয়েছে তা আর অন্য কোন নবীকে দেয়া হয়নি !
আল্লাহ যখন ঈসা (আঃ) কে জীবিত অবস্থায় তার কাছে উঠিয়ে নিলেন, তারপর থেকে হুজুর পাক (সাঃ) আসা পর্যন্ত মধ্যবর্তি সময়ে দীনের দাওয়াত ছিলোনা ! আর দাওয়াত না থাকার কারনে মানুষ এতটাই বর্বর এতটাই খারাপ হয়েগিয়েছিল যে,ঐ যুগকে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ বা অন্ধকার,অজ্ঞতার যুগ বলে আঙ্খায়িত করা হয়ে থাকে !
ঐ যুগে আরবের পৌত্তলিকতায় লিপ্ত এবং নানা কূসংষ্কারে লিপ্ত মানুষদেরকে সর্বনিকৃষ্ট ও অসভ্য জাতি হিসেবে গন্য করা হত !
তত্কালিন বিশ্ব পরাশক্তি রোম-পারস্ব,কায়সার-কিসরার বাদশারা পর্যন্ত আরবের লোকদের উপর কর্তৃত্ব্য খাটাতে অস্বীকার করতো ! যারা সে সময় গোটা বিশ্ব শাসন করতো তারাই আরবদের এহেন বর্বর জাতী হওয়ার কারনে এড়িয়ে চলতো ! তাহলে ইসলাম পূর্ববর্তি যুগে তাদের অবস্থাটা ছিল কি ?!
তো দাওয়াত না থাকার কারনে এমন হয়েছিল ! দাওয়াত থাকবে তো দীন থাকবে,দীন থাকবে তো দুনিয়া থাকবে ! দাওয়াত থাকবেনা তো দীন থাকবেনা,আর দীন থাকবেনা তো দুনিয়াও থাকবেনা ! মাছের জন্য যেমনি পানি জরুরি দীনের জন্য তেমনি দাওয়াত জরুরি !
হুজুর পাক (সাঃ) যখন দীনের দাওয়াত নিয়ে আসলেন,এবং এই সব বর্বর মানুষগুলোর দিলের পেছনে মেহনত শুরু করলেন, তখন দাওয়াতকে গ্রহণ করার কারনে আল্লাহ তায়ালা তাদের মধ্য থেকে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)গণের জামাত কে বের করলেন !
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ),উমর ফরুক (রাঃ),উসমান গনি (রাঃ),জাফর (রাঃ) বিলাল (রাঃ),আলি (রাঃ) এর মত বড় বড় সাহাবা তাদের মধ্যে তৈরি হল ! যাদের মত ভাল মানুষ কিয়ামত পর্যন্ত আর পৃথিবীতে আসবেনা !
যাদের সম্পর্কে হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেন - 'আমার এক একজন সাহাবী আসমানের এক একটা তারকার ন্যায়,তোমরা যাকেই অনুসরণ করবে,হেদায়েতের পথ পেয়ে যাবে !'
আল্লাহ'র রাসূল (সাঃ) তার বিদায় হজ্বের ভাষণে সোয়া লক্ষ সাহাবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,'হে আমার সাহাবীরা ! আমি আল্লাহ'র পক্ষ থেকে যে দীন নিয়ে এসেছি,তাকি তোমাদের নিকট পৌছাতে পেরেছি ?
' সাহাবীরা তখন একবাক্যে উত্তর দিলো,'হে আল্লাহ'র রাসূল !আপনি শুধু পৌছানই নি বরং উহার হক ও আদায় করেছেন ' ! নবীজি তখন বলে উঠলেন - 'হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো ! হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো ! হে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থেকো ! '
তো এই জিম্মাদারি এই নবী ওয়ালা মেহনত আমরা সবাই করতে তৌরি আছিনা ইনশা-আল্লাহ ??
এই কাজের লাভ
কি ? এই কাজের
ভাই অনেক লাভ - আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল বা এক বিকাল ব্যায় করলে দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম।
আল্লাহর রাস্তায় ধুলা আর জাহান্নামের ধোয়াঁ কখনো একত্রিত হবে না। ইত্যাদি…………
....................................................................................
No comments:
Post a Comment