মাশওয়ারা (পরামর্শ )
মাশওয়ারা কি ? - মাশওয়ারা
নবীদের সুন্নত, সাহাবাদের মাপকাঠি,মুমিনের সিফত, দ্বীনের
জন্য মাশওয়ারা করা ওয়াজিব আর দুনিয়ার জন্য মাশওয়ারা করা সুন্নাত।
মাশওয়ারার উদ্দেশ্য :
সারা আলমের দ্বীনের তাকাজা সামনে রেখে সাথী
ভাইদের রায় নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার কাজের জন্য একটি সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়ার চেষ্টা
করা।অর্থাত্ সকল সাথীর দিলে দ্বীন
জিন্দা করার ফিকির পয়দা করা।
মাশওয়ারার বিষয়বস্তু : মাশওয়ারার বিষয়বস্তু তিনটি-
১) নিজে কিভাবে জ্ঞানী গুনি, কর্মঠ, কর্মী, ঈমান
ওয়ালা, আমরওয়ালা মোখলেছীন
দ্বীনের দ্বায়ী বনতে পারি।
২) আমরা
যেভাবে মহল্লা থেকে বের হয়ে এসেছি, কিভাবে এ মহল্লা থেকে নগদ জামাত বের করা যায় তার ফিকির করা।
৩) মহল্লায় যদি
মসজিদ আবাদি মেহনত না থাকলে চালু করা, দুবল থাকেলে জোরদার
করা, জোরদার থাকলে এর থেকে
ফায়দা নেয়া।
মাশওয়ারার লাভ : জোড়
মিলমহব্বত পয়দা , খায়ের ও
বরকত, বেইজ্জ্বইত হইতে হয় না, আল্লাহ গায়েবী গজব উঠাইয়া নেন, অহীর বরকত, অতিশিঘ্র উত্তম প্রতিদান পাওয়া যায়।
তালীম ৩ প্রকার :
১) কোরানের তালিম,
২) কিতাবী তালিম,
৩) ছয় নম্বরের মোজাকার।
তালিমের ৩ টি বিষয় :
১) উদ্দেশ্য, ২) তালিমের লাভ, ৩) আদব।
তালিমের উদ্দেশ্য - আল্লাহতালার
ওয়াদা ও ওয়াদিও একিন দিলে পয়দা করা। দিলে জ্ঞান ও এলেমের তলব পয়দা করা।
তালিমের লাভ - ১) মুর্খতা, অজ্ঞতা , জেহালিয়াত দুর হয় ২) আমলের শক পয়দা
হয়, ৩) আমলের সাথে এলেমের
সর্ম্পক নাজিল হয়, ৪)
খারাপ আমলের প্রতি ঘৃনা হয়, ৫)
ছকিনা অবতীর্ন হয়, ৬) ওহীর
বরকত পাওয়া যায়, ৭)
ফেরেশতারা উক্ত স্থান বেষ্টন করিয়া থাকে, ৮) আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের মজলিশে আলোচনা করেন।
তালিমে বসার আদব -ওযু করে নেয়া, সম্ভব হলে খুশবু লাগানো, গোলাকার হয়ে গায়ে গায়ে লেগে বসা, আত্তাহিয়াতুর সুরতে বসা, আমালের নিয়তে বসা, মোজাহাদার সঙ্গে
বসা, দিলকে খালী করে বসা, জরুরতকে দাবিয়ে বসা।
তালীম শুনার আদব - দিলকে
খালী করে শুনা, মুতাকাল্লিমের
দিকে তাকিয়ে শুনা, দিলের
কানে শুনা, আমলের
নিয়তে শুনা, অন্যের
নিকট পৌঁছানোর নিয়তে শুনা, আল্লাহ
পাকের নাম আসলে আল্লাজাল্লাশানুহু বলা, আমাদের প্রিয় নবীর নাম শুনলে সাল্লেল্লা হুআলাইয়ে সাল্লাম
বলা, পুরুষ সাহাবাগনের নাম
শুনলে রাদিআল্লাহু তায়’লা আনহু
বলা, মহিলা সাহাবীগনের নাম
আসলে রাদিআল্লাহু তায়’লা আনহা
বলা, তিন বা ততোধিক নাম আসলে
পুরুষের বেলায় আনহুম আর মেয়েদের
বেলায় আনহুমা বলা, তাবেঈন/তাবে - তাবেঈনদের/ পীর বুজুর্গদের নাম আসলে রাহ
মাতুল্লাহি আলাইয়ে বলা, আর
জীবিত পীর বুজুর্গদের নাম আসলে দামার্ত বারাকাতুহু বলা, নবীগন ও ফেরেশতাদের নাম আসলে আলাইহিস সালাম বলা।
সারা বছরে মোট ৯ টি কিতাবের তালীম করা হয় :- ফাজায়েলে কুরআন, ফাজায়েলে নামাজ, ফাজায়েলে তাবলীগ, ফাজায়েলে জিকির, ফাজায়েলে রমজান, হেকায়েতে সাহাবা, পুস্তিকা ওয়াহেদ এলাজ, ফাজায়েলে সাদাকাত, ফাজায়েলে হজ্জ্ব।
No comments:
Post a Comment