Thursday, January 25, 2018

তারফি কথা -
প্রত্যেক জমানায় আল্লাহ তায়ালা দীনকে জিন্দা করছেন,হিজরত ও নূসরতের দ্বারা ! আল্লাহ'র রাসূল যখন তায়েফে হিযরত করলেন,তখন তায়েফবাসী তাকে নূসরত তো করলোই না বরং নবীজিকে প্রচন্ড কষ্ট দিয়ে সেখান থেকে বের করে দিল ! ফলে তাৎক্ষনিক সেখান থেকে দীন জিন্দা হয়নি !
যখন নবীজি আবিসীনিয়ায় সাহাবীদের জামাত প্রেরণ করলেন,তখন আবিসীনিয়ার ন্যায় পরায়ন বাদশা তাদের দুনিয়াবি লাইনে তো নূসরত করলো কিন্তু দীনি লাইনে কোন নূসরত করলোনা ! একারনে তাৎক্ষনিক ভাবে সেখানেও দীন জিন্দা হয়নি !
এরপর যখন আল্লাহ'র হুকুমে হুজুর (সাঃ) মদীনায় হিজরত করলেন,তখন মদীনাবাসী তাকে দীনি-দুনিয়াবী হরলাইনে নূসরত করলেন ! আর আল্লাহ তায়ালা সেখান থেকে দীনকে গোটা দুনিায় জিন্দা করলেন ! তিনি মদীনাকে এত দামি বানায়লেন,মদীনাবাসীকে এত দামি বানায়লেন যে,গোটা দুনিয়ার দাওয়াতের মারকাজ মদীনাকে করলেন !
যারা হিজরত করে আসছেন তারা হল মুহাজির আর যারা,তাদের বিভিন্ন লাইনে নূসরত করছে তারা হল আনসার ! হুজুর পাক (সাঃ) বলেন,'আনসারগণ হল আমার জামার ভিতরের অংশ, এবং মুহাজিরগণ হল আমার জামার বাহিরের অংশ'
আনসারদের সম্পর্কে হুজুর (সাঃ) আরো বলেন,'সবাই যদি এক পথে চলে আর আনসাররা  যদি ভীন্ন পথে চলে ! তবে আমার মন চায় আমি যেন আনসারদের পথেই চলি l'
হুজুর (সাঃ) আনসারদের জন্য দুয়া করতেন,'হে আল্লাহ ! আপনি আনসারদেরকে মাফ করুন,তাদের আওলাদদেরকে মাফ করুন,তাদের আওলাদদের আওলাদদেরকেও মাফ করুন '
শুধু মাত্র দীনকে সাহায্য করার কারনে আল্লাহ তায়ালা মদীনার আনসারদেরকে কত দামি বানায় দিছেন ! 'যে আল্লাহ'র দীনকে সাহায্য করে আল্লাহ তায়ালা তাকে সাহায্য করেন !'
তো আমরাও সেই একই নকল হরকত নিয়ে আপনাদের মহল্লায় , আপনাদের মসজীদে সফর করে আসছি ! আমরা দুনিয়ার লাইনে সমস্ত আসবাব,সামান তো নিয়ে আসছি বাকি আপনারা যদি আমাদেরকে শুধু দীনি লাইনে নূছরত করেন,তাহলে আল্লাহ চাইলে এই মহল্লা থেকেও তিনি দীনকে চম্কাবেন,এই মহল্লা এবং মহল্লাবাসীকেও দামি বানায় দিবেন !
 কত ভাই আছেন মহল্লায় যারা বিভিন্ন হালত , বিভিন্ন জরুরতের জন্য মসজিদে আসতে পারতেছেনা ,তাদের দারে দারে নিয়ে গিয়ে গাস্ত করাইলেন ! আমরা ইনশা-আল্লাহ সব সময় তৈয়ার !
তো তিন দিন বেডিং সহ আমাদের সাথে যে যে ভাই থাকবেন,এবং যে যখন যতটুকু পারেন দীনের খাতিরে আমাদের সময় দিন ! ইনশা-আল্লাহ এই মহল্লাহ থেকেও আল্লাহ দীনকে জিন্দা করবেন !

……………………………….

all types of pencils

Wednesday, May 4, 2016

হযরত আলী রাঃ এর অসাধারণ বিচক্ষণতা



               হযরত আলী রাঃ এর একটি অসাধারণ বিচক্ষণতা:


৪র্থ খলিফা, খলিফা আলী, বিচক্ষনতা, সূক্ষ্ম বিচার- হযরত আলী রাঃ এর একটি অসাধারণ বিচক্ষণতা দেখুন মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না গ্যারান্টি দিলাম
ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী রাঃ এর একটি সূক্ষ বিচার নিয়ে যা অবশ্যই আপনাকে মূগ্ধ করতে বাধ্য করবে।

একদা দুইজন লোক কোথাও যাচ্ছিল, ক্ষুদা অনুভব করায় রাস্তার পাশে দুজনই এক সাথে খেতে বসলো। তাদের একজনের কাছে ছিল ৫টি রুটি এবং অন্যজনের কাছে ছিল ৩টি রুটি। পথিমধ্যে তৃতিয় একজন লোক যাচ্ছিল তাদের পাশ কেটে। উভয়ই তৃতীয় ব্যক্তিটিকে ডাক দিয়ে বলল ভাই আসুন আমাদের সাথে খেতে বসুন। 

তিনজনই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া শেষ করল এবং তৃতীয় ব্যক্তিটি যাওয়ার সময় তাদের দুজনকে খুশি হয়ে উপহার সরূপ ৮টি টাকা দিয়ে গেল। বাস বিপত্তিটা বাধে তখনই, প্রথমজন বলল আমার যেহেতু রুটি ছিল ৫ টি সেহেতু আমি পাঁচ টাকা নিবো আর তোমার ছিল তিনটি রুটি তাই তুমি পাবে তিন টাকা। কিন্তু দ্বিতীয়জন এই রায় মেনে না নিয়ে বলল যেহেতু ৮ টাকা দেওয়া হয়েছে তাই সমান সমান অর্থাত্ ৪ টাকা করে ভাগ হবে। কিন্তু আবার প্রথমজন অর্থাত্ ৫ রুটি ওয়ালা এই রায় মেন নিতে রাজি ছিলনা তাই দুজনই হযরত আলী রাঃ এর দ্বারস্থ হলেন এর সমাধানের জন্য।

হয়রত আলী রাঃ পুরো ঘটনার আদ্যপান্থ শুনলেন এবং দ্বিতীয়জন অর্থাত্ তিন রুটি ওয়ালাকে লক্ষ করে বললেন তোমার সাথী তুমি তিন টাকা পাবে বলে যে রায় দিয়েছেন তা মেনে নাও যাতে তুমিই বেশী লাভবান হবে। কিন্তু  আমি রায় দিলে তুমি পাবে মাত্র এক টাকা। দ্বিতীয় ব্যক্তিটি বলল আপনি ন্যায় বিচার করে দিন তাতে যদি আমি এক টাকাও পাই তাই আমি মেনে নেব।

হযরত আলী রাঃ বললেন তোমাদের রুটি ছিল ৮টি আর তোমরা ৮টি রুটি খেয়েছ তিনজনে। তাহলে ধরে নেওয়া যায় প্র্রতিটা রুটিতেই তোমাদের অংশিদারিত্ব ছিল (যেহেতু কে কতটুকু খেয়েছ তাঁর সঠিক পরিমাপ তোমাদের কারোরই জানা নাই) অর্থাত্ প্রতিটি রুটিকে তিনটি টুকরোয় বিভক্ত করা হয়েছে যে তিনটি টুকরোর তোমরা প্রত্যেকেই একটি করে ভক্ষণ করেছ । 

অতএব ৮ টি রুটির সমষ্টি হয় ৮*৩=২৪ টি টুকরোতে। সুতরাং তোমরা প্রত্যেকেই খেয়েছ ৮টি করে টুকরো।

এবার হযরত আলী রাঃ আবার দ্বিতীয়জন অর্থাত্ তিন রুটিওয়ালাকে লক্ষ করে বললেন তোমার তিন রুটির সমষ্টি ৯টি টুকরো থেকে তুমি নিজেই খেয়েছ ৮ টুকরো এবং বাকি রইল মাত্র এক টুকরো । 

আর তৃতীয়জন অর্থাত্ তোমাদের মেহমান যিনি ৮ টাকা দিয়েছিলেন তিনি খেয়েছেন তোমার রুটির বাকি অংশ অর্থাত্ এক টুকরো। আর তোমার সাথী অর্থাত্ যে ৫ রুটির মালিক তার রুটি গুলোর সমষ্টি হয় যথাক্রমে ৫*৩=১৫ টুকরো এবং তোমাদের মেহমান সে ১৫ টুকরো থেকে ভক্ষণ করেছেন ৭ টুকরো রুটি। 

সুতরাং হিসাব স্পষ্ট যেহেতু তোমার রুটির অংশ থেকে মেহমান গ্রহণ করেছেন এক টুকরো তাই তুমি পাবে এক টাকা এবং তোমার সাথী থেকে গ্রহণ করেছে ৭ টুকরো তাই তোমার সাথী পাবে ৭ টাকা।

লোকটি এমন সূক্ষ বিচার দেখে হতভম্ব হয়ে গেল এবং অবনত মস্তকে হযরত আলী রাঃ এর বিচক্ষণতাপূর্ণ  রায় মেনে নিয়ে এক টাকাতেই সন্তোষ্ট চিত্তে ফিরে গেল।


তাহলে আজকের মত বিদায়, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন….ইসলাম মানলে শান্তি, ইসলাম মানলে কামিয়াব
                           
                                         ..................................................




৬ নং এর মোটামুটি কথা


                    ৬ নং এর মোটামুটি কথা-

আল্লাহর মহান হুকুম ফরজ নামাজ আদায় করার পর দ্বীনের কিছু কথা বলা এবং শুনা, আল্লাহ্ তায়া তৌফিক দান করছেন সেজন্য দিল থেকে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ্

আল্লাহর নিয়ামত পাইয়া যে শুকরিয়া আদায় করে আল্লাহ্ তার নিয়ামত বাড়াইয়া দেন আর যে না শুকর করে তাকে অনেক পেরেশানিতে রাখেন এবং কঠিন আজাবে গ্রেফতার করেন

আপনি যত সম্পদশালি হন আর রাস্তার ফকির হন,নিজ নিজ অবস্থান থেকে শুকরিয়া আদায় করলে আল্লাহ্ খুশি হয়ে যান

হযরত আবু হুরাইরা (রা:) হইতে বর্নিত রসুলুল্লাহ্ (:) বলেন, আল্লাহ্ তায়ালা মানুষের বাহ্যিক সুরত সম্পদ দেখেন না বরং মানুষের অন্তর আমল দেখেন আল্লাহর দরবারে কবুলিয়াতির জন্য সিফাত শর্ত মেহেনত করে যখন আমার মধ্যে সিফাত পয়দা করতে পারবো তখন আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে আমি কবুল হব এগুলার মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিফাত হলো ঈমান

1 ঈমান - হচ্ছে হুজুর পাক (:) এর উপর আস্থা থাকার দরুন অল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে তিনি যে সব খবরা খবর নিয়ে এসেছেন বিনা দ্বিধায় এক্বিনের সাথে মেনে নেয়া আর ঈমানে বাক্য হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্
 কালেমার উদ্দেশ্য হলো-

এক্বিনের পরিবর্তনঃ গয়রুল্লাহ্ থেকে হওয়ার এক্বিন দিল থেকে বের করে আল্লাহ থেকে হওয়ার এক্বিন দিলে পয়দা করা আমাদের পালনেওয়ালা,খাওয়ানেওয়ালা,রিজীক দেওনেওয়ালা একমাত্র আল্লাহ্ চাকরি-ব্যাবসা আমাদের খাওয়াইনা, আল্লাহু্ আমাদের খাওয়ান এই এক্বিন দিলে পয়দা করা

তরিকার পরিবর্তনঃ কোন তরিকায় শান্তি ও কামিয়াবী নাই একমাত্র হুজুর (সা:) এর তিরিকায় শান্তি ও কামিয়াবী, এ এক্বিন দিলে পয়দা করতে হবে

জজ্জবার পরিবর্তনঃ দুনিয়া সুখেরও জায়গা না দুখেরও জায়গা না আসল সুখ জান্নাতে এবং আসল দুঃখ জাহান্নামে, এই এক্বিন দিলে পয়দা করা


কালেমার লাভঃ যে ব্যক্তি একিন ও এখলাসের সাথে কালেমা লা-ইলাহা ইল্লা অল্লাহ্ পড়বে তার পিছনের সমস্ত গুণাহ মাফ হয়ে যাবে

যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় লা-ইলাহা ইল্লা আল্লাহ্ পড়বে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে ইত্যাদি……..

হাসিলের পদ্ধতিঃ এ কালেমা হাসিল করতে হলে দাওয়াত দিতে হবে,মশ্ক করতে হবে এবং দোয়া করতে হবে

দাওয়াতঃ যেখানে যেখানে গয়রুল্লাহর আলোচনা হয় সেখানে সেখানে অল্লাহ্ তায়ালা থেকে হওয়ার দাওয়াত দিতে হবে, সুন্নতের মধ্যে কামীয়াবির দাওয়াত দিতে হবে এবং আখেরাতের জিন্দেগীই যে আসল এর দাওয়াত দিতে হবে

মশ্কঃ  মসজিদ ঘরে ঈমানের হালকা বানিয়ে আল্লাহর কুদরতে বড়ত্বের মুজাকারা করতে হবে

ঈমানের হালকা বানিয়ে আম্বিয়া কেরাম (আঃ) গণ যে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করেছেন এবং আল্লাহ যে তাহাদের গায়েবী মদদ করেছেন তা মুজাকারা করতে হবে

সাহাবা (রাঃ) গণ যে আল্লাহ তায়ালার উপর এক্বিন করেছেন আর আল্লাহ তাদের কুদরতী ভাবে সাহায্য করেছেন তা ঈমানি হালকায়ে আলোচনা করতে হবে

কোরআন হাদিসের ঈমানের যে আলামতগুলি বর্নিত হয়েছে তা হালকাতে মুজাকারা করতে হবে

দোয়াঃ আমার ঈমান যাতে কামেল হয় সমস্ত উম্মতের জন্য আল্লাহর কাছে কেদেঁ কেদেঁ দোয়া করতে হবে

2 নামাজঃ  নামাজের উদ্দেশ্য হলো-আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার গায়েবী খাজানা থেকে নেয়ার এক্বিন পয়দা করা আমলের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ন হলো নামাজ

লাভঃ যে ব্যাক্তি সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে গুরুত্বের সাথে নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজ দায়িত্বে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন

নামাজ জান্নাতের চাবি  ইত্যাদি…….

হাসিলের পদ্ধতিঃ নামাজ হাসিল করতে হলে মশ্ক করতে হবে এবং দোয়া করতে হবে

মশ্কঃ ওযু থেকে সালাম ফেরানো পর্যন্ত যতগুলা ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নত মুস্তাহাব আছে তা আমার নামাজে ফিট করার জন্য মেহনত করতে হবে

আমি আল্লাহকে দেখছি অথবা আল্লাহ আমাকে দেখছেন এই ধ্যানের সাথে নামাজ পড়তে  হবে

নিজের হাজতকে নামাজের মাধ্যমে পুরা করার বার বার চেষ্টা করতে হবে

দোয়াঃ আমার সমস্ত উম্মতের নামাজ যাতে কামেল হয় এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে

3 এলেম জিকিরঃ এলেম জিকিরের উদ্দেশ্য হলো- এলেম এলাহীর মধ্যে কামিয়াবী এই এক্বিন দিলে পয়দা করা

প্রত্যেক সময় এই চিন্তা করা যে, এই মুহুর্তে আমার আল্লাহ আমার কাছে কি চাচ্ছেন

লাভঃ দ্বীনি এলেম শিক্ষার জন্য যে ব্যক্তি কোন রাস্তা অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিবেন

এলেমের সাথে অল্প আমল মুর্খতার সাথে অনেক আমল করার চাইতে উত্তম

হাসিলের পদ্ধতিঃ দাওয়াত,মশ্ক দোয়া করার মাধ্যমে আমরা এলেম হাসিল করব

দাওয়াতঃ এলেম এলাহীর কামিঃয়াবীর দাওয়াত অন্যকে বেশি বেশি দেওয়া যাতে আমার এক্বিন হয়

মশ্কঃ ঘরে মসজিদে ফাজায়েলে এলেমের তালিমের হালকা কায়েম করে ফাজায়েলে এলেম হাসিল করবো

মাসায়েলে এলেম ওলামাদের খেদমতে বেশি বেশি গিয়ে জেনে নিব, তরবিয়তের এলেম হায়াতুস সাহাবা এবং সিফতের এলেম মুন্তাখাব হাদিস থেকে হাসিল করবো

দোয়াঃ আল্লাহ তায়ালার কাছে রোজানা দোয়া করব যাতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে সমস্ত উম্মতকে উপকারী এলেম দান করেন

যিকিরের  হলো- সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার ধ্যান অন্তরে পয়দা করা যিকির বলে আর যিকিরে উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য হাসিল করা

লাভঃ যিকির দ্বারা যে ব্যাক্তি তার জিহ্বাকে তরতাজা রাখবে সে হাসঁতে হাসঁতে জান্নাতে প্রবেশ করবে

যার দিলে যিকির আছে তার দিল জিন্দা আর যার দিলে যিকির নাই তার দিল মুর্দা

হাসিলের পদ্ধতিঃ দাওয়াত দিব,মশ্ক করব এবং দোয়া করব

দাওয়াতঃ আল্লাহ তায়ালার তারুফ তাহমিদ,তাজকিয়া উম্মতের মধ্যে চলে ফিরে দাওয়াত দেয়া অর্থাত্ প্রত্যেক আমল কে ধ্যানের সাথে পুরা করার দাওয়াত দেওয়া

মশ্কঃ ধ্যানের সাথে সকাল-বিকাল তিন তাসবিহ্ আদায় করা,রোজানা ধ্যানের সাথে কোরআন তেলাওয়াত করা

মাসনুন দোয়াগুলি শিখে ধ্যানের সাথে জায়গা মত আদায় করা প্রত্যেক আমল করার সময় এহ্ তেসাবের সাথে করা

দোয়াঃ আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে হাই আল্লাহ্ সবসময় তোমার ধ্যান আমার সমস্ত উম্মতকে দান কর

4 একরামুল মুসলিমীনের উদ্দেশ্য হলো হুজুর (সাঃ) এর হুসনে আখলাক কে আমার জিন্দেগীতে নিয়ে আসা

লাভঃ কোন মুসলমানের উপকারের জন্য অগ্রসর হলে দশ বছর মসজিদে এতেকাফের সওয়াব পাওয়া যায়

কোন মুসলমান ভাইয়ের একটি হাজত পুরা করলে আল্লাহ তায়ালাতাহার তেয়াত্তরটি হাজত সম্পুর্ন করবেন অন্যান্য……….

হাসিলের পদ্ধতিঃ এই একরাম আমরা তিন ভাবে হাসিল করবো- দাওয়াত,মশ্ক দোয়ার মাধ্যমে

দাওয়াতঃ অন্যের হক আদায় করার গুরুত্ব নিজের হক ছেড়ে দেওয়ার ফাজায়েল অন্যের দোষের মধ্যে গুন তালাশ করার বলে উম্মতের মধ্যে দাওয়াত দেওয়া

মশ্কঃ অন্যের উপর আমার যে হক আছে তা মাফ করে দেয়া এবং নিজে অন্যের হক আদায় করা

অন্যের দোষ ঢেকে রাখা এবং তার দোষের মধ্যে গুন তালাস করা একরাম
জালেমকেও মাফ করে দেওয়া ফেরেস্তাদের হক আদায় করা

দোয়াঃ আমার এবং সমস্ত উম্মতের আখলাক যাতে সুন্দর হয় এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা

5 এখলাছে নিয়্যত এর উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহ তায়ালার হুকুম সমুহকে রাসুল (সাঃ) এর তরিকায় শুধু মাত্র আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য করা

লাভঃ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য কেউ যদি সামান্য খেজুর দান করে তো আল্লাহ তায়ালা তাকে পাহাড় পরিমান নেকি দান করবেন

এখলাসের জন্য সামান্য আমল নাজাতের জন্য যতেষ্ট অন্যান্য………….

হাসিলের পদ্ধতিঃ এখলাস হাসিল করার জন্য দাওয়াত দিব,মশ্ক করব

দাওয়াতঃ উম্মতের সাথে চলে ফিরে এখলাসের সাথে দাওয়াত দেওয়া

মশ্কঃ প্রত্যেক কাজের মধ্যে তিন তিন বার যাচাই করা যে আমি কাজ আল্লাহ্ তায়ালার জন্য করছি কি না

প্রতিদিন কিছু কিছু আমল এমন ভাবে করা যাতে আল্লাহ ফেরেস্তা ছাড়া কেউ না জানে

বুজুর্গদের সেবা করা

নিজের গুনের মধ্যে দোষ তালাশ করা এখলাস

6 দাওয়াত তাবলিগঃ দাওয়াত তাবলীগের উদ্দেশ্য হলো- নিজের এক্বিন আমল এবং সমস্ত দুনিয়ার এক্বিন আমল সহি করার জন্য হুজুর (সাঃ) এর মেহেনতের তরিকাকে জিন্দা করা

লাভঃ আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল বা এক বিকাল ব্যায় করলে দুনিয়া দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম

আল্লাহর রাস্তায় ধুলা আর জাহান্নামের ধোয়াঁ কখনো একত্রিত হবে না ইত্যাদি…………

হাসিলের পদ্ধতিঃ দাওয়াতদিব,মশ্ক করবো এবং দোয়া করব

দাওয়াতঃ উম্মতের জান মাল উম্মতের নিজের না বরং আল্লাহর দেওয়া আমানত কথার দাওয়াত দিতে হবে

মশ্কঃ জীবনের প্রথম সুযোগে চার মাস সময় লাগিয়ে নিজের এক্বিন সংশোধন করা জান মালের সঠিক ব্যবহার শেখা

প্রতি বছর চার মাস সময় আল্লাহ্ রাস্তায় দেওয়া

মসজিদওয়ারী পাচঁ কাজ নিজের হিদায়েতের নিয়্যতে মজবুতের সাথে করা

আমার মসজিদকে আবাদ করার জন্য আড়াই ঘন্টার মেহনতকে দাওয়াত,তালীম এস্তেকবালের সুরতে করা

দোয়াঃ আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দোয়া করা যাতে এই সিফাতগুলো আমার সমস্ত উম্মতের মধ্যে চলে আসে

          ----------------------------------------------------------------------